রাত যখন গভীর:- Part:6+7+8


রাত যখন গভীর


Part:6+7+8


তখন সবাই দেখে। লালচে বৃত্ত টি আস্তে আস্তে সেই ঘরে প্রবেশ করছে। একটু পরে,লালচে বৃত্ত টি জীন প্রিন্স এর রুপ নেয়। মাথা নিচু করে বসে আছে প্রিন্স।
আর অন্য দিকে প্রিন্স রুমে প্রবেশ করার সাথে সাথে রিনি জেগে ওঠে।
আর প্রিন্স কে দেখে আঁতকে ওঠে।এতো মনে হচ্ছে স্বপ্নের সেই মানুষ।
রিনি মনে মনে বলছেঃ এই ছেলে তাহলে প্রিন্স।এই ছেলে তো আমার স্বপ্নে আসতো।আর স্বপ্নে দেখতাম আমার সাথে খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে যেতো। আর যার ফলে মিলন হয়ে যায় ।
তবে আমি যখন চোখ জোড়া খুললি,তখন কিছুই দেখতে পেতামনা। আর স্বপ্নে দেখতাম প্রতিদিন আমাদের মিলন হতো।
আচ্ছা, এমন মিলন স্বপ্নে হলে বাস্তবে কি কষ্ট হয়? আমার মাঝে মধ্যে অনেক কষ্ট হতো।তাই মাঝে মধ্যে বলে উঠতাম, প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও।আমার কষ্ট হচ্ছে।
আর মাঝে মধ্যে দেখতাম আমি কোন এক সুখের দুনিয়ায় ভেসে যাচ্ছি। আর অনেক ভালো লাগা কাজ করতো!
আচ্ছা তাহলে কি যা স্বপ্নে দেখতাম! এগুলো কি আমার সাথে বাস্তবে হতো?
আর অন্য দিকে প্রিন্সের অবস্থা কিছু টা এমন যে,সে
তার মনে মনে খুব রাগ জারছে। তার বোন শাম্মি যদি না ডাকতো তাহলে সে কোন ভাবেই এখানে আসতো না।সে বোনের জন্য সব করতে পারে। এমনকি নিজের জীবন দিতে দ্বিতীয় বার চিন্তা করবেনা।এতটাই বোন শাম্মিকে ভালোবাসে।
আজ প্রিন্সের,
আত্মসম্মানে খুব লাগছে। কারণ সে একটা রাজ্যের ভবিষ্যতের রাজা।আর অপার শক্তির অধিকারি।মা বাবা ২ জনের শক্তি ই তার কাছে আছে।
তার পর ও কিছু মানুষ এর সামনে অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে বসে থাকতে হচ্ছে। বরাবরই তার ইগো তে লাগছে!
তখনই
প্রিন্স মনে মনে বলছে ঃ আমার কি এমন দোষ ছিলো। যে আমার বাবা আর বোনের সামনে আমার আত্মসম্মান একদম মাটির সাথে মিলিয়ে দিলো এই মানুষ গুলো ।আর যদি এই বৃত্তের ভেতরে না থাকতাম তাহলে ওদের সবাইকে মেরে শেষ করে দিতাম।আর এই রিনি কে ও শেষ করে দিতাম।
অনেক্ক্ষণ ধরে চেষ্টা করছিলাম,এই বাসায় প্রবেশ করার। কিন্তু অর্ক,আর রাহাত হুজুর দোয়া পানির কারণে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। আর রিনি নামাজ ঘরে থাকাতে তার উপর ভর করতে পারিনি।
আসলে আসল কথা কি জানেন, মানুষ যত দোষ করুক না কেন অন্যের দোষ বেশি দেখতে পাই।আর নিজেকে ধোঁয়ার তুলসী পাতা মনে করে।
ঠিক প্রিন্স ও নিজেকে ধোঁয়ার তুলসী পাতা মনে করচ্ছে।একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করে ও তার যেন একটু ও অনুতপ্ত হচ্ছে না।
লাবু বলেঃ আচ্ছা রাবেয়া ভাবি, এই প্রিন্সের চোখ এত লাল হয়ে গেছে কেন? আর মনে হচ্ছে যেন বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেই আমাদের সবাই কে মেরে ফেলতো।
রাবেয়া বলে ঃ প্রিন্স কি করতো জানি না।তবে আমি হাতের কাছে পেলে। বেয়াদব কে আস্ত রাখতাম না।
কামাল বলে ঃ আহা! শান্ত হও।দেখি ওরা কি করে।
জান্নাত বলেঃপ্রিন্স সুন্দর করে বলবে কি কারণে রাত যখন গভীর হতো এমন অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হতে?না হয় আমাদের জানা আছে, তোমাকে ঠিক কি করতে হবে।
সুমি বলেঃ ভালো ভালো, সব স্বীকার করে নাও।
হাবিব বলেঃ অন্যতাই তোমার সাথে আমরা এমন কিছু করবো যা তুমি ইমাজিন ও করতে পারবে না। অবশ্য স্বীকার করলে শাস্তি কমে যাবে।
রাজা মশাই বলেঃ সব সত্যি কথা বল।তুরে সুশিক্ষা দিয়েছিলাম কেন এমন আহাম্মক এর কাজ করলি?
শাম্মি বলেঃ ভাই তুর বিয়ে করতে মন চাইলে আমাকে বলতি?মা বাবার সাথে এই নিয়ে কথা বলতাম।আর আমাদের রাজ্যের সেরা সুন্দরী তুর বউ করে আনতাম।উওর দে????
অর্ক বলেঃ প্রিন্স
তুমি কি জনো না রিনির একটা ভবিষ্যত আছে!
কেন মেয়েটার জীবন অল্প বয়সে ধ্বংস করে দিচ্ছো।
হঠাৎ প্রিন্স বলে উঠে..
হঠাৎ প্রিন্স বলে উঠেঃ উফ! আপনারা কিন্তু আমাকে বড্ড জ্বালাচ্ছেন।চুপ করে আছি তার মানে এই না, যা ইচ্ছা বলবেন। আর আমি হলাম প্রিন্স আমাকে বকা দেয়ার অধিকার আপনাদের নেই।আপনারা ভুলে যাচ্ছেন আমি জীন রাজ্যের প্রিন্স। আর এই বৃত্ত টি না থাকলে বুঝতে পারতেন সবাই কত ধানের, কত চাল।আমার বাবা, বোনের সামনে আমার অপমান করা।তখন হারে হারে টের পেতেন এই অপমানির ফল।
রাজা ( রশিদ) বলেঃ বড্ড বেয়াদব হয়ে গেছস!আমার মানসম্মান মাটির সাথে মিশিয়ে দিলি।আর এই ভাবে কেন কথা বলতেচস?।সত্যি করে বল, রিনির সাথে এমন করলি কেন?
তোর তো কোন ক্ষতি করে নি ও।
প্রিন্স ( ইনতিয়াজ) বলেঃ বলবো না আমি। কাউকে জবাব দিতে বাধ্য নই আমি।
তখনই শাম্মি বলেঃ আজ যদি তুই সব খুলে না বলিস।কসম।আমি এমন জায়গাতে যাবো খুঁজে ও পাবি না।আর মনে রাখবি তুর কোন বোন নেই!!!আজ যদি সব স্বীকার না করিস তাহলে মনে করবি তোর শাম্মি নামে কোন বোন ই আর কখনো ছিলোই না!!!
প্রিন্স বলেঃ আমি কার জন্য আসছি এখানে ? তুই না ডাকলে আমি জীবনে ও আসতাম না এখানে। বাবার ডাকে ও সাড়া দেয়নি।দেখিস নি। জানিস তো।।প্লিজ বোন এমন করিস না।আমি বাঁচতে পারবোনা তুই বিনা।
শাম্মি বলেঃ তাহলে সব স্বীকার কর???কিন্তু
তবু ও বেশ কিছুক্ষণ প্রিন্স চুপ ছিল।
অর্ক বলেঃ কি হলো বল?প্রিন্স!
কামাল বলেঃ প্রিন্স ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছো মনে হয় আমাদের। সব বল না হয় তোমার অবস্থা খুব খারাপ হবে।
রাবেয়া বলেঃ এখন চুপ কেন? রাতের পর রাত আমার মেয়ে কে নিয়ে নষ্ট খেলাই মেতে উঠচস।ফস্টিনস্টি করচস।আমার নির্দোষ মেয়ে টা কিছুই জানতো না । আর এখন স্বীকার করতে বলছি,মুখে তালা দি রাকছস কেন?
লাবু বলেঃ শান্ত হন ভাবি। আপনি এমন করলে নিজেভ অসুস্থ হয়ে যাবেন।
হাবিব বলেঃ আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবো।না বললে তোমার উপর আমরা যে কোন সময় যে কোন action নিতে বাধ্য হব।
রাহাত হুজুর বলেঃ আমার রাগ উঠলে তোমাকে শেষ করে ফেলবো কিন্তু প্রিন্স ?তুমি জানো এটা করা আমার জন্য বড় ব্যাপার নই। যা বলার তাড়াতাড়ি বলো!!!
প্রিন্স তখন ও চুপ ছিল। তখনই হঠাৎ
জান্নাত বলেঃ শাম্মি তুমি বরং যেখানে যাবে বলছিলে চলেই যাও।তোমার ভাইয়ের মুখে তালা দিয়ে আছে। আর তোমার ভাই তোমাকে ভালোবাসে না। তাই এখন ও চুপ।চলে যাও।যত তাড়াতাড়ি পারো!!!!
শাম্মি বলেঃ এখনই চলে যাচ্ছি।ভাই তুই আমাকে জীবনে ও আর খুঁজে পাবি না
প্রিন্সের চোখ জোড়া অশ্রুতে টলমল করছে। আর চোখ জোড়া আগুনের গুলাগ এর মতো লাল হয়ে আছে ।ওদের প্রতি তিব্র রাগের বহিঃপ্রকাশ তার চোখ জোড়া দেখলেই বুঝা যাচ্ছে।
কথায় আছে, ভাইয়েরা হচ্ছে আল্লাহ পাক এর এক বড় নিয়ামত। বোনের সুখের জন্য, বোনের মুখে হাসি ফুটাতে তারা সব করতে পারে। সে কাজ যত কঠিন হোক না কেন। ভাইয়েরা সে কাজ অনায়াসে বোনের জন্য করে পেলে।
বিনিময়ে তাদের বোনের মুখে এক টুকরো হাসি। ভাইদের সব গ্লানি মোচন করে দেয়।
আসলে প্রিন্স ও বোনকে মারাত্মক ভালবাসে।
আর তাইতো,
শাম্মি যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই প্রিন্স চিৎকার দেয়। আর,
প্রিন্স বলেঃ আমি প্রতিশোধ নিছিলাম!!!!
প্রতিশোধ।।।।।
শাম্মি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে প্রিন্সের দিকে।
শাম্মি বলেঃ তুই একটা জীন?
আর রিনি একটা মানুষ। আর তুই নরমাল কোন জীন নই।জীন রাজ্যের প্রিন্স। তোর সাথে ওর কিসের শত্রু থামি?
প্রিন্স দির্ঘ নিঃশ্বাস নেই।।
তখন অন্য দিকে রিনি সব শুনছিলো।কে কি বলছে, কি করছে!
তবে সে চুপ ছিল।
কারণ সে ও জানতে চায়। কেন রাতের গভীরে এমন একটা ঘৃণার কাজ প্রিন্স তার সাথে করলো।
আসলে বিয়ে পর স্বামী, স্ত্রির সম্পর্কে ঘনিষ্ঠ হওয়া হালাল।এটা সবার কাছে গ্রহণনীয়।
কিন্তু বিয়ে আগে এরকম ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ হারাম।সকলের নিকট দৃষ্টি কোটো। আর সবাই ঘৃণার চোখে দেখে।
ঠিক তাই রিনির কাছে ও এটা একটা ঘৃণিত কাজ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
তখনই প্রিন্স চোখ জোড়া বন্ধ করে আর বলতে শুরু করে ঃআমি আর আমার বোন খুব ঘুরে বেড়াতাম। ২ জনে ভ্রমণ পিপাসু।আর আমাদের যখন যেখানে ইচ্ছা চোখের পলক ফেলতেই চলে যেতে পারি।সব জায়গায় তো জীন থাকে ।
বাবা খুব ভালো রাজা তাই সবাই বাবা কে অনেক সম্মান করে,ভালোবাসে।
আর যেখানে যেতাম সেখানকার জীনেরা আমাদের খেয়াল রাখতেন। আর যেকোনো সমস্যার মধ্যে পড়লে।যেখানে যেতাম সেখানের জীনেরা সামলে
নিতো।তাই মা বাবা ও নিশ্চিন্তে আমাদের ভাই, বোনকে ঘুরতে দিতো।কোন বাঁধা দিতো না।
কিন্তু একদিন বোন বলে।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরবে।
তাই
একদিন আমি, আর বোন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসি। ২ জনে নির্ঝন
জায়গায় বসে ছিলাম।
কিন্তু একটু পর শাম্মি আমাদের বাসায় মানে আমাদের রাজ্যে ফিরে যাবে বলে।তার নাকি কি কাজ বাকি আছে।
আমাকে ও চলে যেতে বলে।কিন্তু আমি প্রকৃতির সুন্দর এই রুপকে আরোও উপভোগ করতে চাইছিলাম।
তাই বলি,তুই যা।আমি কিছুক্ষণ থাকি এখানে?
শাম্মি বলেঃ বুঝেছি তুই এই রোমাঞ্চকর সময় টা আরো উপভোগ করতে চাচ্ছিস?
প্রিন্স বলেঃ কেমনে বুঝস মনের কথা?
শাম্মি বলেঃ কিস কা বেহেন দেখনা পাড়ে গা!
এই বলে শাম্মি আমাকে রেখে চলে গেল।অল্প সময়ে নিমিষেই হাওয়ার সাথে মিলিয়ে গেলো।
আমি বসে ছিলাম একা। ঠান্ডা হাওয়া, নির্জন একটা জায়গা। সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন।
এক কথায় অসাধারণ একটা মূহুর্ত।আর অসাধারণ পরিবেশ।
কিন্তু ঠিক কিছুক্ষণ পরে আমি যেনো একটা কিসের শোরগোল এর শব্দ শুনতে পেলাম।এই শোরগোল কোথায় হচ্ছে তা দেখার জন্য
সমুদ্রের ধারে যে গাছ আছে। সে গাছের সারিতে খুজতে লাগলাম।
আর ঠিক তখনই একটা মিষ্টি গানের গলা শুনতে পেলাম।আমার মন সেই সুরে মাতাল হয়ে যাই ।
আরও দ্রুত খুঁজতে থাকি।
সেই কন্ঠ কে সে কন্ঠ রিতিমতো আমার হৃদয় কে ঘায়েল করে দিলো!
খুঁজতে খুঁজতে সমুদ্রের গাছের সারির একটু গভীরে গেলাম। তখন একটা গান গাইছিল সে ঘায়েল করা কন্ঠ সেটা ছিলোঃ
অনেক সাধনার পরে,
আমি পেলাম তোমার মন।
তুমি বুকে টেনে নাও না প্রিয় আমাকে,
আমি ভালোবাসি ভালোবাসি, ভালোবাসি তোমাকে।।।।
গানটা শুনছিলাম আর অবিরত খুঁজেতে থাকি।
ঠিক সেই মূহুর্তে দেখলাম,একটা মেয়ে কে বেশ কয়েক জন ছেলে মেয়ে চারপাশে ঘিরে বসে আছে। আর তাদের মধ্যে বসা।সে-ই মেয়ে টি গান গাইছে।
আমি মেয়ে টাকে ভালোভাবে দেখতে পারছিলাম না।
আমি তো অদৃশ্য আমি ওদের দেখতে পেলে ও ওরা কেউ আমার ইচ্ছে ছাড়া আমাকে দেখতে পাবে না।
তাই আমি আরেক টু কাছে গেলাম। যাতে আমার হৃদয় ঘায়েল করা কন্ঠের অধিকারিনীকে এক ঝলক দেখতে পারি।
ঠিক তখনই আমি দেখলাম,,,,,,,,,,
ঠিক তখনই আমি দেখলাম একটা পিচ্চি মেয়ে গান গাইছে। পরনে ছিল সবুজ রঙের শাড়ি আর চুল গুলো খোলা ছিল। কোমর ছাড়িয়ে হাঁটু অবধি চুল। অসাধারণ এক মায়াবী কণ্যা।
চোখ জোড়া কাজলের খালি দিয়ে আকাঁ।আর ঠুটেঁ ছিলো লাল লিপস্টিক। বেশ মানিয়ে ছিল সাজটা।
মূলত তাকে ভালো লেগে যাই, তার ঘনকালো চুলের গোছার জন্য ।আর ভুবন ভোলানো হাসির জন্য। তার হাসি টা বেশ সুন্দর। আমি তাকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।কিন্তু সে তো সে কথা জানে না।
সে তার আপন মনে গান গেয়ে চলেছে । আর ওকে ঘিরে বসে থাকা ছেলে মেয়েরা মুগ্ধ হয়ে গান শুনছে।
হঠাৎ সে গাইতে শুরু করে,
"দেখা হাজারো দাফা আপকু
পির বেকারারি কেচি হে,
তখন,
আমি বলে উঠিঃ বাহ।আমার অনুভূতির সাথে খাপেখাপ খেয়ে গেছে।
তবে আমি খেয়াল করিনি আমি ওর খুব কাছে চলে আসি।
আর একটা কথা আমাদের জীনেদের মেয়েদের সুন্দর চুলের প্রতি দূর্বলতা থাকে।
তাই রাতে কোথাও গেলে মেয়েদের চুল সামলে রাখা উচিত।
কিন্তু তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে।তার চুল আর তার সাজ।সন্ধ্যার হলকা আলো আর আধারের সময়ে তাকে আরো সুন্দর করে তুলেছে।
বলতে পারেন, সেই মুহুর্তে তার সৌন্দর্য কয়েক শ গুণ বেড়ে গিয়েছিল।
তার খুব কাছে চলে গেছিলাম। যার ফলে তার চুলের অপরুপ ঘ্রাণ আমার নাকে পাচ্ছিলাম।অনুভব করতে পারছিলাম সেই মন মাতানো সৌরভ।
আমি উপলব্ধি করলাম আমি ওর থেকে ২ ইঞ্চি দূরত্বে আছি।
কবিরা ঠিকই বলেছেনঃ মেয়ে দের চুলে এক অপরুপ ঘ্রাণ থাকে। যা মন উতালপাতাল করে দেয়।
সেদিন গান শেষ হতেই সবাই চলে যেতে লাগলো। আমি সেই মেয়েটির পিছু নিলাম।
ওর বাড়ি টা চিনে নিলাম।
সেই মায়াবিনীর নাম ছিল রিনি।
প্রশ্ন আসতে পারে, নাম কেমনে জানলাম?
যখন সে বাসায় ফিরে যাই।তখন তার মা রাবেয়া বলেছিলঃরিনি ফিরে আসচস।এত
দেরি হলো কেন?
আমি সেই ভাবে সেদিন তার নাম জানতে পারলাম।
এরপর আমি রাজ্যে ফিরে আসি।কারণ শাম্মি চিন্তা করবে দেরি হলে।
কিন্তু সেদিন রাতে আমার অবাধ্য মন আবার পাগলামি শুরু করে বসে।
তখন ইচ্ছে হচ্ছিল, মায়াবতীর চুলের ঘ্রাণ নিতে,তার কালো আকর্ষনীয় চুলগুলো দেখতে।
আমি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি। অবশেষে সেদিন রাতে রিনির বাসায় প্রবেশ করি।রিনির রুম খুঁজে পেতে কষ্ট হলো।কিন্তু শেষে ঠিকই খুঁজে পেলাম।
আমি যখন রুমে গেলাম। দেখি সে বাচ্চা মেয়ের মত ঘুমাচ্ছে। তার ঘুমন্ত মুখ দেখে আমি আরও ঘায়েল হয়ে গেলাম।
আসলে কিছু কিছু মেয়েদের ঘুমন্ত মুখ দেখতে অসাধারণ লাগে।
আমি তাকে ছুয়ে দিতে চাইলাম। কিন্তু পারলাম না।
আমি চিন্তায় পড়ে যায়। কেন এমন হলো?
আমি আমার শক্তি ব্যবহার করে দেখি যে ঠিক কি কারণে এমন হচ্ছে?
অবশেষে বুঝতে পারছি, সে রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুর কুরছি পড়ে ঘুমিয়ে ছিল। তাই তাকে পাশে যাওয়া বা স্পর্শ করা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না।
রাতে ঘুমানোর সময় আয়াতের কুরছি পড়লে জীনরা ধারে কাছে আসতেই পারে না।
আমার ক্ষেত্রে ও তাই হলো।
আমি তাই সামনে থাকা চেয়ারে বসে রিনি কে দেখছিলাম। রাত যখন গভীর হতে থাকে রিনি নাড়া ছাড়া শুরু করে দেয়।
সে ঘুমানোর সময় প্লাজু আর ফতুয়া পড়ে ছিল।
নাড়াচাড়া করার ফলে ফতুয়া কিছুটা উঠে গেছে। যার ফলে কোমরের খানিকটা দেখা যাচ্ছে।
তার কোমরে একটা কুচকুচে কালো তিল ছিলো। বেশ আকর্ষনীয় লাগছিল।
বেশ কিছুক্ষণ ছিলাম রিনির রুমে।
কিন্তু ফজরের আযান দিতেই আমি রাজ্যে ফিরে আসি। এইটুক বলে,প্রিন্স চুপ হয়ে যায়।
লাবু বলেঃ তারপর কি হলো??
প্রিন্স আবার বলতে শুরু করে,
আমি আবার সকালে রিনি কে দেখতে গেলাম।
সে স্কুলে যাচ্ছিলো।
আর আমি আমার রুপ কিছুটা কালচে ভাব এনে ওর সামনে স্কুলের পথে ইচ্ছে করে ধাক্কা খেলাম।
রিনি বলেঃ ওই মিয়া, চোখ জোড়া কি বাসায় রেখে আসছেন নাকি চোখ জোড়া বন্ধ করে চলেন???
আমি বলিঃ উমমম।২ টাই সঠিক।
রিনি আর এক মুহূর্ত না দাঁড়িয়ে স্কুলে চলে গেল।
আমি দাড়িয়ে থেকে তার চলে যাওয়া দেখছিলাম।
এই ভাবে রোজ দেখা হতো।
তবে রিনি কখনো আমার সাথে ভালো ভাবে কথাই বলতো না।
আর আমি যখন প্রতিদিন স্কুলের পথে দাড়িয়ে থাকতাম। আমার এক বন্ধু আমাকে সঙ্গী দিতো।জীন বন্ধু আরকি।।
সে বন্ধু হলো,রহমান জীন।
রহমান বলেঃ আরে জীন রাজ্যে কত অপ্সরা তোর উপর মরে।আর তুই কিনা এই মেয়ের জন্য ফিদা হয়ে গেলি???
প্রিন্স বলেঃ ও হাজারের মধ্যে একজন। পৃথিবীতে আমার চোখ ও সেরা রূপবতী।
এইভাবে চলতে থাকে।
প্রিন্সকে দেখলেই রিনি রাগী একটা মুখ বানিয়ে চলে যেতো।
তবে প্রতিদিন রিনির রুমে প্রিন্স যেতো। ধরা,ছোঁয়া যেতো না।শুধু দূর থেকে দেখা যেতো। সে প্রতিদিন আয়াতুল কুরছি পরতো। তাই এমনটা হতো।
তবে বেশ লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম রিনি কে।যত দেখতাম ততবেশি ভালো লেগে যেতো।
একদিন স্কুলের রাস্তায় ওর জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
একটা ছেলে খুব handsome করে।স্কুলের অপজিটের দোকানে দাঁড়িয়ে আছে।
রিনি প্রতিদিন এই দোকান থেকে "পানি পুরি"/ পুস্কা খেতো।
তাই আমার নজর সে দোকানের দিকে ছিল।
রিনি আজ ও গেলো সে দোকানে।কিন্তু সেই ছেলেটা রিনি দোকানে প্রবেশ করতেই হাঁটু গেরে প্রপোজ করে বসে।
রিনি কোন কিছু না বলে পাশ কাটিয়ে চলে গেল।
আমার বন্ধু রহমান বললোঃ মামা, যা করার তাড়াতাড়ি করো না হলে,
"আম ও যাবে চালি ও পাবে না"
প্রিন্স বলেঃ আচ্ছা কাল কে কিছু করবো!
পরদিন সকালে প্রিন্স ১০০ টা গোলাপ আর বেশি করে চকলেট আর একটা পুস্কার দোকান সহ রিনির অপেক্ষাই আছে।
রিনি আসতেই প্রিন্স হাঁটু বাজ করে ফুল দিলো।
কিন্তু ঠিক তখনই,
রিনি.......

(চলুক,,,,,,,?)

গল্প: অজানা কারণে।
পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন
""""ধন্যবাদ""""

0 Comments