অনেক দিন পর বন্ধুের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম,সেই কবে সবার সাথে দেখা হয়েছে, আজ মনে হলো আমার আবার সেই আগের মত হয়ে গেছি,অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম বন্ধুের সাথে হঠাৎ মেসেজ টন বেজে উঠলো,ফোন টা হাতে নিয়ে দেখি আমার পাগলি টা মেসেজ, দিছে, মেসেজ টা সিন করলাম,
তুই যদি ১৫ মিনিটের মধ্যে বাসায় না আসিস আমি আজ কে আবার হাত কাট বো😡
পাগলি টা ৯ টার পর থেকে কল দিচ্ছিলো, এক বার শুধু কল ধরে বলেছি একটু পর আসছি,,তার পর আর রিসিভ করিনি,
তাই রাগ করে মেসেজ টা করছে,
ও যা বলে তাই করে, খুব রাগি, এর আগে অনেক বার আমার উপর রাগ করে হাত কেটেছে, তাই আর এমন মুহূর্ত দেরি না করে বাড়ির দিকে দৌড় দিলাম,দরজায় একবার নক করতেই, পাগলি টা একটা মোমবাতি হাতে বেড়িয়ে এলো,,
এই তুই এতোখন বাহিরে থেকে কি করলি, কখন থেকে তোকে ফোন দিচ্ছি ,
সত্যি করে বল কোথায় ছিলি,
এই তো বন্ধুের সাথে ছিলাম, অনেক দিন পর দেখা হলো তাই একটু আড্ডা দিলাম,
আমার চেয়ে তোর আড্ডা বড় হয়ে গেলো, তুই জানিস না বাসায় একা একা আমার ভয় করে, এই অবস্থাতেও তুই কি করে বাইরে থাকতে পারিস,এতো রাতে কাল আমার ডেলিভারি হবে আর তুই,
আচ্ছা শুনো আমি আরও কোনো দিনও এত রাত বাহিরে থাকবো না এবারের মত ক্ষমা করে দে,,,,
তুই এর আগে অনেক বার এই কথা বলেছিস,কিন্তু পরে আর মনে থাকে না তুই আমার সাথে কথা বলবি না,,
আমার জান টা দেখি আমার উপর খুব রাগ করছে,আমার উপর রাগ করে আমার রাগী বউ টা কি থাকতে পারবে,
হ্যা থাকতে পারবো, তুই আমার সাথে কথা বলবি না ভালো করে বলে দিলাম,
কথা গুলো বলার সময় আমার বউ টার প্রতি সত্যি খুব মায়া হচ্ছিলো,
চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পর ছিলো, মেয়েটা খুব অভিমানী,
পাগলি টা আমাকে ছারা কখনো খাইনি তাই এসব বলছি ,
জানি আমার জান টা আমাকে ছাড়া খেতেই পারে না,চল খাই,
যা তুই একাই গিল, আমি খাবো না,
এটা বলেই শুবার ঘরে চলে গেলো,প্লেটে কিছু ভাত নিয়ে ঘরে গিয়ে ওকে বোঝানো শুরু করলাম,কোনো কিছু তেই কাজ হচ্ছে না
এক সময়,
জান আমার না খুব খিদে লাগছে
তুই একটু খাইয়ে দে না,
পারবো না যা তো এখান থেকে,
পাগলি টা আজ খুব রাগ করেছে, আমি ভাতের প্লেট টা টেবিলে রেখে শুয়ে পরলাম, একটু ঘুম ঘুম ভাব আসেই পাগলি টা ডাকছে,
এই ওঠ,উঠে গিলে আমাকে উদ্ধার কর, আমাকে ছাড়া তো খাবি না,
তোমাকে ছাড়া আমি কি করে খাবো বলো,
তোকে ছাড়া কি করে খাবো বল,
কুত্তা আর এক দিন যদি আমাকে একা রেখে বাহিরে থাকবি, তোর খবর আছে,, তোকে মেরেই ফেলবো,
ও আমাকে তুলে খাওয়াচ্ছিলো, আমিও পাগলি টা কে খাইয়ে দিলাম,
তার পর দুজনেই শুয়ে পরলাম,
কিছুখন পর,,,,,,,,,,
এই কুত্তা, ওই বান্দর উঠ বলছি,,,,,
কিরে কি হয়ছে, ডাকছিস কেনো,ঘুমাতে দিবি না নাকি,,,,
আমাকে একটু বুকে ঝরিয়ে নিবি,আমার না খুব ভয় করছে,বাহিরে খুব বৃষ্টি আর বজ্রপাতের শব্দ শুনা যাচ্ছে, বজ্রপাতের শব্দ আমার খুব ভয় করে,
পাগলি টাকে বুকে জরিয়ে নিলাম শক্ত করে, ও আমার বুকে ছোট বাচ্চার মতো লুকিয়ে গেলো,,,আসলে ওর সব কিছু ছোট বাচ্চাদের মতো,বাচ্চাদের মতো ঠোঁট ফুলিয়ে বলতে লাগলো,,,,,,
তোকে কখন থেকে ডাকছি, তুই উঠলি না কেনো,
ঘুমিয়ে পড়ে ছিলাম সোনা,,,
ঘুমাইবি তো,তুই আমাকে একটুও ভালোবাসিস না
আমার কথা তোর একটুও মনে থাকে না,, আমি যে দিন মরে যাবো সে দিন আমার কথা মনে করে কাঁদবি, না বউ এ ভাবে বলিস না,তুই ছাড়া আমি ভালো থাকতে পারবো না রে, তোর যদি কিছু হয় আমি প্রতি দিন মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করবো রে,,
তোকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না রে, প্লিজ আমাকে ছাড়ে কোথাও যাসনা প্লিজ 😭
না সোনা, তোকে ছেরে আমি কোথাও যাবো না, আমি তোর উপর রাগ করি ঠিকি, কিন্তু তোকে অনেক ভালো বাসি রে,অনেক ভালো বাসি 🥰
আমি জানি আমার আপন মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসে, এখন একটু ঘুমাও,হ্যা ঘুমাচ্ছি,সারা রাত জরিয়ে ধরে থাকবি কিন্তু, একটু ও ছারবি না, না হলে সকালে উঠে অনেক কান্না করবো,আচ্ছা সোনা,তোকে আমি আমার বুক থেকে আলাদা করবো না, এখন ঘুমাও, অনেক রাত হয়ছে,আমি জেগে জেগে ওকে পাহারা দিচ্ছিলাম,আমাদের ভালোবাসে দেখে মনে হয় বৃষ্টি রাও অনেক হিংসা করছিলো,হঠাৎ চোখের পাতাটা ভারি হয়ে এলো,সকাল হয়ে এলো,আমার জান টার আজ ডেলিভারি পেইন শুরু হয়ে গেছে,আমি তাকে বুকে জরিয়ে আছি, খুব ঝটফট করছিলো,আর খুব কাটছিলো, আমার জান টা, আমি আমার জান টার কান্না একদম সহ্য করতে পারি না, ওর সামান্য খারাপ লাগা টুকু আমার কাছে মৃত্যুর চেয়ে ভয়ংকর, এক কথাই নিজের দেহ, আছে তা কখনো ভাবি না ওকে কোন কিছুর অভাব কষ্ট কি কখনো বুঝতে দেই নি সব চাওয়া পূর্ন করেছি, কোনো চাওয়া অপূর্ণ রাখিনি,,
সে খুব অভিমানী ছিলো,অল্পতেই অভিমান করতো আর কাটতো,আমি আমার সর্বচ্চ চেষ্টা দিয়ে তার কান্না থামাতামা,, কিন্তু আজ তার কষ্টের কান্না থামানোর কোন উপায় জানা নেই আমার,চোখের পানি আটকাতে পারলাম না,দেরি না করে খুব তারা তারি হাসপাতালে নিয়ে গেলাম,সময় যতো বারছে, পাগলি টার কষ্ট ততো ভারছে,চিৎকার করে কাদছিলো পাগলি টা আর আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে,আর আমার জান টা একটা কথাও বলেনি আমার সাথে, কারন অসহ্য যন্ত্রণায় তার জানটা বেরিয়ে যাচ্ছিলো,ডাক্তার তাকে ডেলিভারি রুমে নিয়ে যাচ্ছে, সাথে আমিও, কিন্তু ডাক্তার আমাকে রুমে ডুকতে দিলো না,আমি অনেক অনুরোধ করলাম,ডাক্তার আমার জান টা খুব ভীতু,আমার ওর সাথে থাকা খুব দরকার,প্লীজ আমাকে সাথে নিন,ডাক্তার কোনো কথা শুনলো না,এ দিকে আমার জান টা যন্ত্রণায় ছটফট করছিলো,আমাকে বাহিরে রেখে ওরা আমার জান টা কে ভিতরে নিয়ে গেলো,যাওয়ার সময় আমার লক্ষি সোনা চোখ মেলে এক বার আমার দিকে তাকিলো,কি মায়া বলে বুঝাতে পারবো না,বাহিরে অপেক্ষা করছি আর কাঁদছি,আধা ঘন্টা পর ডাক্তার বেরিয়ে আসলেন,এসে বললেন আপনি একটু আমার চেম্বারে আসেন,
আমি গেলাম,,,
ডাক্তার বললো আপনার স্ত্রীর অবস্থা খুব একটা ভালো না,দুঃখের সাথে বলছি আমরা যেকোনো এক জন কে বাচাতে পারবো,হয় মা না হয় সন্তান, এবার আপনি বলুন কা কে চান,
আমি কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না,কারন আমি পাগলি টা কে ছাড়া বাঁচতে পারবো না,
আবার,,,,
ডাক্তারের হাত দরে বলছি, আমি দুজন কে চাই,যতো টাকা লাগে আমি আপনাকে দিবো, ডাক্তার, দরকার হয় আমার ঘর, বাড়ি,জমি,এমন কি আমার কিডনি দুটাও দিয়ে দিবো,তাও আপনি ওদের দুজন কে বাচান, ডাক্তার,,,,,,
প্লীজ ডাক্তার,,,,,,,,
ডাক্তার আবার ডেলিভারি রুমে ঢুকলেন, প্রায় এক ঘন্টা পর ডাক্তার বেরিয়ে আসলেন, আমি উঠে দারিয়ে ডাক্তার কে বললাম,
ডাক্তার আমার জান টার কি অবস্থা,
আমার সন্তান কেমন আছে,,
আমি কি এখন একটু আমার জান টার সাথে দেখা করতে পারি,, কেবল এক নজর আমার সন্তান কে দেখতে পারি,ডাক্তার নিরব দুচোখে দুফোঁটা চোখের পানি ফেলে বলতে লাগলো,,,,,,,
আপনার স্ত্রীর কন্যা সন্তান হয়েছে, কিন্তু,,,,,,,,,
কিন্তু কি ডাক্তার,,,,,,
আমরা খুবি দুঃখিতো৷ আমরা মা ও মেয়ে কাও কে বাচাতে পারিনি, ডাক্তারের মুখে কথা টা শুনার পর আমার কেনো জানি মনে হলো,আকাশ তার নিজের জায়গায় নেই, মাটি আমার পায়ের নিচ থেকে সরে গেছে,
চার দিক অন্ধকার হতে লাগলো,নিশ্বাস টা বন্ধ হতে লাগলো,শেষ বারের মতো এক বার নিশ্বাস নিতে চাইলাম কিন্তু পারলাম না, মনে হচ্ছে আমি মরে যাচ্ছি,, জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম, জ্ঞান ফিরে আসার পর বাবা মা কে পাশে পেলাম সবাই কাদছে,আর একটা অন্ধকার ঘরে আমার নিষ্পাপ মেয়ে আর আমার জান টা কে রাখা আছে,,,
আমি আমার জান টার কাছে গিয়ে দেখি একটা সাদা চাদরে আমার জান টা কে ডেকে রেখেছে,পাশে আমার নিষ্পাপ সন্তান, চাদর টা সরালাম,আমার জান টা মেয়ে টা কে নিয়ে ঘুমিয়ে আছে, আমার মেয়ে টা খুব সুন্দর একে বারে মায়ের মতো,কাছে গিয়ে ডাক দিলাম,,,,
জান ও জান উঠো,, ওই উঠো না, ওই উঠো না জান,, ও জান,আমি এসেছি দেখো, কি রে মেয়ে পেয়ে আমাকে ভুলে গেলি নাকি,,, ওঠ না সোনা, ওঠে,একটু কথা বল আমার সাথে দেখ আমি কিন্তু কেঁদে ফেলবো,ওঠ বলছি,,আমার পিছনে আমার মা আমাকে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো,,বাবারে বউ মা আমাদের সবাই কে ছেড়ে চলে গেছে,আর কোনো দিন উঠ বে না,এ হতে পারে না মা পাগলি টা প্রমিজ করেছে, আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না, দেখ মা ও এখনি উঠে পরবে, আর আমাকে বলবে কুত্তা, বান্দর, এতো খন কোথায় ছিলি,
তুই জানিস না অন্ধকারে একা একা আমার ভয় লাগে,আমি আবার ডাকলাম কিন্তু আমার জান টা উঠছে না,একটা বার আমাকে দেখলো না,
একটা বার আমার সাথে কথা বললো না, বলবে কি করে আমার জান টা সত্যি সত্যি তার প্রমিজ ভঙ্গ করে আমাকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছে,,আমার সর্বচ্চ শক্তি দিয়ে চিৎকার করে কাঁদছিলাম,আজ থেকে আমি একা, বড় একা হয়ে গেলাম,আমার জান পাখি টা আমাকে ছেড়ে চলে গেছে, এ দিকে সবাই আমাকে বুঝাচ্ছিলো,বাস্তবতা বড়ই নিষ্ঠুর বড়ই পাষান,কেঁদে আর কি হবে নিজে কে শক্ত করো,নিজেকে আমি কি ভাবে শক্ত করবো,নিজেকে শক্ত করার কোনো কিছু জানা নেই আমার, জনমের মত চোখ ভরে দেখলাম এক বার আমার মেয়ে আর পাগলি টা কে, অভিমানী বউ কে,কথা বলার বাক শক্তি অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি,কথা বলার কোনো শক্ত নেই আমার, আছে শুধু দুচোখের ক্ষিন দৃষ্টি, স্বার্থপরের মতো আমার ভীতু বউ কে একা অন্ধকার ঘরে রেখে আসলাম,ওকে ছেড়ে আসতে মন চাই ছিলো না, সবাই জোর করে নিয়ে আসলো
অনেক রাত হয়ে গেছে, গতকাল আমার পাশে আমার চাঁদ ছিলো,,কাল কে কেনো জানি আমাকে একটু বেশি আদর করছিলো, সারা রাত আমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে ছিলো, কিন্তু আমার পাশে আজ পাগলি টা নেই, আমি একা,চোখে ঘুম নামের অস্তিত্ব আমার নেই, লাইট জালা লাম,সারা ঘরে জুড়ে শুধু পাগলি টার সৃতি, যৈ দিকে তাকাচ্ছি পাগলি টা কে দেখছি,এই আয়নার সামনে পাগলি টা সাজো,আর আমি ওকে জরিয়ে ধরতাম,মাথা আচরানুর কত বার যে চুল গুলো এলোমেলো করে দিছি, শত ইচ্ছে হলেও তাকে আর দেখতে পারবো, না,তাকে ছুতে পারবো না, হাজার ইচ্ছে করলেও তাকে আদর করতে পারবো, না, আমার সব কিছু এলোমেলো করে স্বার্থপরের মতো আমাকে একা রেখে চলে গেছে,আজ থেকে সারা রাত বাহিরে থাকলেও কেউ বলবে না,কুত্তা, বান্দর, এতোখন, কই ছিলি,সারা দিন না খেয়ে থাকলেও কেউ এসে বলবে না নে, গিল, আমাকে ছাড়া তো আর খাবি না, নিজেকে আমি কি দিয়ে শান্তনা দিবো,আমি কি নিয়ে বেচে থাকবো এখন,, তার ব্যবহৃত সব জিনিস নিয়ে নাড়া চারা করছিলাম,হঠাৎ ডাইরির শেষ পাতায় চোখ আটকে গেলো,জান আমি জানি তুই আমাকে খুব ভালোবাসিস আমাকে ছাড়া থাকতে তোর অনেক কষ্ট হবে,আমি তোকে খুব ভালোবাসি,আমার নিজের জীবনের চেয়ে বেশি, কিছু দিন পর আমি তো মা হতে চলেছি,শুনেছি মা হতে গেলে নাকি অনেক কষ্ট হয়, অনেকে মারাও যাই,চমকি যদি মরে যাই৷ তাহলে একটুও কাঁদবি না কিন্তু, আমার সন্তান কে দেখে রাখিস ওকে অনেক আদর করিস,টিক মত খাস, শরিরের যত্ন নিসর্গ,আর রাতে একদম বাহিরে থাকবি না, তুই অনেক ভালো রে, আমি তোর উপর অনেক অবিচার করেছি,রাগ করেছি, তোকে কষ্ট দিয়েছি,আমাকে ক্ষমা করে দিস সোনা, আমি যদি মরে যাই তুই একটা সুন্দরী মেয়ে কে বিয়ে করবি,দেখিস সে আমার থেকে তোকে অনেক বেশি ভালোবাসবে,,আমাকে তুই কথা দে সব সময় ভালো থাকবি,এটা মনে রাখিস আমি সব সময় তোকে দেখবে,তুই যদি ভালো থাকিস আমিও ভালো থাকবো,তুই যদি কষ্টে থাকিস আমিও কষ্টে থাকবো,ভালো থাকিস সোনা,লেখাটা পরে কখন যে ডাইরির পাতা ভিজে এক একার হয়ে গেছে বুঝতেই পারলাম না, ডাইরিটা বুকে নিয়ে শুয়ে শুয়ে কাঁদতে লাগলাম,বাহিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, পাগলি টা বুঝি বলে উঠলো জান ওঠ ,আমার না খুব ভয় করছে আমাকে বুকে জরিয়ে নিবি,,😢😢😢
ভালোবাসার মানুষ যার হারাই সে বুঝে
ভালো থাকুক সবার ভালোবাসা🌷
❣️❣️❣️❣️❣️❣️সমাপ্তি
0 Comments